মিশর ও কাতারের মধ্যস্থত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস তিনটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে। প্রতিটি ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাস রাজি হয়েছে বলে সোমবার জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক আল জাজিরা। তবে ইসারায়েল এ চুক্তিতে রাজি কি না, তা স্পষ্ট নয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম ধাপে নেটজারিম করিডোর থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে, যেটি ইসরায়েল উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিভক্ত করতে ব্যবহার করে।
দ্বিতীয় ধাপে সামরিক ও বৈরী অভিযান স্থায়ীভাবে বন্ধের অনুমোদন ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রস্তাবটিতে তৃতীয় ধাপে গাজা অবরোধের অবসানের অনুমোদনের বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তে রাজি হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তে রাজি হামাস
এক বিজ্ঞপ্তিতে হামাস জানিয়েছে, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের তারা নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘প্রস্তাবটিতে ‘সুদূরপ্রসারী’ উপসংহার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ইসরায়েল সমর্থন করবে না।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোও বলছে, ইসরায়ে সরকার চুক্তিটি গ্রহণ করেনি।
হামাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া টেলিফোনে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি ও মিশরের গোয়েন্দা বিভাগের মন্ত্রী আব্বাস কামেলকে জানিয়েছেন, তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী যুদ্ধবিরতিতে হামাস রাজি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
পাঠকের মতামত